Skip to main content

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখব নাকি প্রোগ্রামিং শিখবো?

 **ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখব নাকি প্রোগ্রামিং শিখবো?**




প্রথমেই বলবো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট , এন্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট ,ডেস্কটপ ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি সেক্টর সব গুলোই প্রোগ্রামিং এর শাখা-প্রশাখা।
তাই যে ওয়েব ডেভেলপার একইসাথে তাকে প্রোগ্রামার ও বলা যায়। তবে তুমি কি একজন দক্ষ প্রোগ্রামার হবে নাকি ডেভেলপার হবে সময়ের ভিত্তিতে একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারো।
✅ তোমার যদি মনে হয়--
১. আমি এক বছরের মধ্যে কিছু একটা করতে চাই।
২. প্রতিদিন ৫-৬ ঘন্টা সময় দিতে পারবো
৩. প্রচুর হার্ডওয়ার্ক করতে পারবো। কোন জিনিস না বুঝলে বারবার বিভিন্ন জায়গা থেকে দেখে শিখে নিতে পারবো।
তাহলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কথা চিন্তা করতে পারো। কারন এই স্কিলটি আয়ত্ত করতে চাইলে মোটামোটি ৬-৮মাস সময় দিলে একজন জুনিয়র ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা যায়।
আর একবার সিদ্ধান্ত নিলে সেই লাইনে সিরিয়াসলি লেগে থাকতে হবে। প্রচুর হার্ডওয়ার্ক করতে হবে। ইউটিউব থেকে শেখার চেষ্টা করো। বাংলা বা ইংরেজি টিউটোরিয়াল দেখে। এতেও যদি কাজ না হয়। তারপরেও যদি চেষ্টা করতে চাও। তাহলে **Programming Hero** সম্পর্কে ঘাটাঘাঁটি করতে পারো।
✅ আবার, তোমার যদি মনে হয়--
দেড় - দুই বছর সময় আছে হাতে। নেক্সট এক দেড় বছরের মধ্যে কোনো জবের চিন্তা নাই তাহলে সলিড প্রোগ্রামিং এর দিকে চিন্তা করতে পারো। এখন,
১. তোমার হাতে কি দেড় দুই বছরের মতো সময় আছে?
২. নেক্সট দেড় দুই বছর কি তুমি রেগুলার ৩-৪ ঘন্টা সময় দিতে পারবে ?
৩. একই জিনিস না বুঝলে বার বার বিভিন্ন জায়গা থেকে দেখে শিখে নিতে পারবে ?
তাহলে প্রোগ্রামিং শিখো। একদম C দিয়ে শুরু করে, C++ এরপর ডাটা স্ট্রাকচার, এলগরিদম ধরে ধরে প্রোগ্রামিং এর জগতে প্রবেশ করো। এতে সময় একটু বেশি লাগবে কিন্তু তোমার নলেজ এবং ফাউন্ডেশন স্ট্রং হবে।
যদি প্রোগ্রামিং শিখতে চাও তাহলে সম্ভব হলে সিএসই তে ভর্তি হয়ে যাও বা নিজে নিজে শিখতে চাইলে সুবিন ভাইয়ের বই দিয়ে শুরু করো। প্রব্লেম সলভিং করার করো। এতেও কাজ না হলে, ফাইট্রনের কম্পিউটার সাইন্স ফান্দামেন্টাল কোর্স দিয়ে শুরু করো
তবে দুইটার যেই লাইনেই যাও না কেন। কোনটাই ১০০% ইজি হবে না। অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। হার্ডওয়ার্ক করতে হবে। অনেকবার ছেড়ে দিতে ইচ্ছা করবে। এরপরেও লেগে থাকতে হবে। তাহলে যেটাই করো ভালো করবে।

Comments

Popular posts from this blog

অফলাইন ডাটা স্টোর করার ৬ টি মাধ্যম

  অফলাইন ডাটা স্টোর করার ৬ টি মাধ্যম যখন ফ্লটারে অফলাইনে ডেটা সংরক্ষণের কথা আসে, তখন এটি করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। অফলাইন ডাটা স্টোরেজ বলতে বোঝায় যে কোনো স্টোরেজ মিডিয়াম যেটিকে প্রত্যেকবার ফিজিক্যালি একটি সিস্টেমে ইনসার্ট করা হয়, যখন কোনো ইউজার ডেটা অ্যাক্সেস বা এডিট করতে চায় । অফলাইন স্টোরেজে সংরক্ষিত ডেটা তার ডিভাইস স্টোরেজে স্থায়ীভাবে থেকে যায় এমনকি ডেটা স্টোরেজের পরে কম্পিউটার থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন বা আনপ্লাগ করা হলেও। উদাহরণ হিসেবে সহজ কথায় বলা যায়, মোবাইল অ্যাপের কনটেক্সটে, Offline data sync হল এমন একটি ফিচার যা ইউজারদের তাদের ডিভাইস অফলাইনে থাকা অবস্থায়ও ডেটা তৈরি করতে, পরিবর্তন করতে এবং সার্চ করতে দেয়৷ ডিভাইসটি অনলাইনে থাকাকালীন ডেটা লোকাল স্টোরে সংরক্ষণ করা হয় এবং Azure Mobile Apps সার্ভিসের সাথে সিঙ্ক্রোনাইজ করে। ফ্লাটারে, অফলাইনে ডেটা স্টোরেজ করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে৷ এরমধ্যে টপ ৬ ধরনের উপায় নিয়ে আজকের আলোচনা- Using Text/CSV/JSON files ডেটা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত সবচেয়ে বেসিক ফাইল টাইপ হল TXT, CSV এবং JSON। ডার্ট প্রোগ্রামিং ভাষা সহজেই এই ফাইলগুলি পড়তে এবং লিখত...

Flutter Developer হওয়ার জন্য রোডম্যাপ-

Flutter Developer হওয়ার জন্য রোডম্যাপ-   যেকোনো প্রযুক্তি বা ভাষা শিখতে প্রয়োজন সময় এবং ধৈর্যের। কখনও মাঝখান থেকে শুরু করবেন না, বা এক লাফে অ্যাডভান্স শিখতে শুরু করবেন না, এবং কখনোই নিজের শেখার সাথে অন্যদের তুলনা করতে যাবেন না। বর্তমান আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে প্রিয় এবং গৃহীত প্রযুক্তির মধ্যে ফ্লাটার অন্যতম। কিন্তু কেন? কেন ফ্লাটার এত শীর্ষে? এত এত ফ্রেমওয়ার্ক থাকতে ফ্লাটারই কেন? এই আর্টিকেলে, আমরা দেখবো কেন ফ্লাটার সবচেয়ে শীর্ষে, এবং জানবো কীভাবে এটা শিখতে হয়। ফ্লাটার কী? ফ্লাটার হচ্ছে সুন্দর ও নেটিভভাবে কম্পাইল্ড অ্যাপ্লিকেশন নির্মাণের জন্য গুগলের ইউআই টুলকিট, যার সাহায্যে ওয়েব, ডেস্কটপ, মোবাইল, এবং এমবেডেড ডিভাইসের জন্য অ্যাপ তৈরি করা যায় মাত্র একটা কোডবেজে। তার মানে এটা বলা যায় যে, আপনি যদি ফ্লাটার দিয়ে আপনার অ্যাপ বা ওয়েবসাইট বানান, তাহলে এটা হবে আরও বেশি সুন্দর, আর হবে অন্যান্য ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে বানানো অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের চেয়ে বেশি দ্রুতগতির! তো ফ্লাটার কীভাবে এত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে? ফ্লাটার নেটিভ ল্যাঙ্গুয়েজে কোড কম্পাইল করে। স্টার্টাপগুলো ফ্লাটার সহজেই শিখে এমভিপি বানিয়ে ফেলতে...

InApp WebView দিয়ে Webview কন্টেন্ট ব্লকার তৈরী করবেন কিভাবে?

এই আর্টিকেলে, আমরা flutter in app web view প্লাগইন ব্যবহার করে আমাদের ওয়েবভিউ ইন্সট্যান্সের জন্য একটি কাস্টম কনটেন্ট ব্লকার তৈরি করা শিখবো। কন্টেন্ট ব্লকার সাধারণত বিজ্ঞাপন ব্লক করার জন্য ব্যবহার করা হয়, কিন্তু আপনি অন্য কোনো কন্টেন্ট ব্লক করতেও ব্যবহার করতে পারেন। ব্লকিং বিহেভিয়ারের মধ্যে রয়েছে এলিমেন্টস হাইড করা, লোড ব্লক করা এবং iOS এবং macOS-এ, WebView রিকুয়েস্ট থেকে কুকি রিমুভ করা। মনে রাখবেন, স্পেশালাইজড এক্সটেনশন যেমন অ্যাডব্লক (AdBlock) বা অ্যাডব্লক প্লাসের (AdBlock Plus) কার্যকারিতা আর কন্টেন্ট ব্লকারের কার্যকারিতা একই লেভেলের না। কন্টেন্ট ব্লকার হলো এমন একটি রুলসের সেট যা কখনই ওয়েবভিউ থেকে কোনো কলব্যাক বা নোটিফিকেশন ফিরে পায় না যখন এটি ব্লক করার জন্য প্রয়োজনীয় কন্টেন্ট খুঁজে পায়। **InAppWebViewSettings **ক্লাসের  contentBlockers  প্রোপার্টির মাধ্যমে আমরা ContentBlocker এর এমন ইন্সট্যান্সের একটি লিস্ট তৈরি করতে পারি ওয়েবভিউয়ের ব্যবহারের জন্য। দ্যা কনটেন্টব্লকার ক্লাস (The ContentBlocker class) আমরা ContentBlocker ক্লাসে কনটেন্ট-ব্লকিং বিহেভিয়ার সংজ্ঞায়িত করি...